প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৫
মাফিয়া শেখ হাসিনা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক
হিডেন ডেক্স ঃ
জোরপূর্বক অপহরণ ও গুমের দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সেনাকর্মকর্তাসহ ৩০ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইজিপির কাছে পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীর ১২ দপ্তরেও পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ছাড়াও ২৩ জন সাবেক ও বর্তমান সেনাকর্মকর্তা আছেন। সেনাকর্মকর্তাদের মধ্যে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক ওর্যাবের সাবেক তিন প্রধানও আছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়। এ প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার বিকেলেই দুই মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইজিপি ও ১২টি দপ্তরে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
১২ দপ্তর হলো– চিফ অব আর্মি স্টাফ, চিফ অব জেনারেল স্টাফ, অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল (আর্মি হেডকোয়ার্টার), ডিজি ডিজিএফআই, ডিজি এনএসআই, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন), প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, ডিরেক্টর মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স, ডিরেক্টর পার্সোনেল সার্ভিস ডিরেক্টরেট (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী), কমান্ডেন্ট আর্মি সিকিউরিটি ইউনিট, প্রভোস্ট মার্শাল এবং সিইও (আর্মি এমপি ইউনিট ফর ইনফরমেশন)।
এর আগে বুধবার টিএফআই সেলে গুমের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল-১। একই সঙ্গে জেআইসিতে গুমের ঘটনায় আরেক মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। একই দিন সকালে এ দুই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এরপর শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের পর কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি সরকারি চাকরিতে থাকতে পারবেন না। ফলে এই মুহূর্তে যারা চাকরিতে আছেন তাদের সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা যাবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।