১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ৪:২২

গনপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আকতার মেয়ের বিবাহে হাতিয়ে নিলেন মুরিদানের মাধ্যেম কোটি কোটি টাকা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

মেয়ের বিবাহের নামে মুরিদ দিয়ে হাতিয়ে নিলেন কোটি কোটি টাকা ।

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার সুফিবাদ মতাদর্শের অনুসারীদের প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।তাছাড়া,তিনি নারায়ণগঞ্জের ভুঁইগড়ের হাকিমাবাদ খানকা-ই-মোজাদ্দেদিয়ার ‘পীর সাহেব। তিনি  তার মেয়ের  বিবাহ অনুষ্ঠানে গত জুন মাসের ২৮ তারিখ ১২ ০০ শত  লোককে নিমন্ত্রন দেন চিন  মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে । এই অনুষ্ঠানে তিনি তার পছন্দময়ী  তার অধিদপ্তরের ও মন্ত্রনালয়ের, ঠিকাদার, মুরিদানদের নিমন্ত্রন দিয়েছেন। এখানে যে খরচ হয়েছে আপ্যায়নে ও ভাড়া বাবদ সেই টাকা একজন সৎ ও আদর্শ বিবেকবান সরকারী অফিসারের পক্ষে করা  সম্ভব নয়।  আর এখানেপীর দাবীদার শামীম আকতারের  বেতন গ্রেড-১ অনুবাদে  ৭৮ থেকে ৮০ হাজার টাকা। সে নিজেকে ১০০ % সৎ ও বিবেকবান দাবী করেন।সেই শর্তে তার পক্ষে এত বড় অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয় বলেই তার দপ্তরের জনৈক প্রকৌশলী  জানান। তিনি আরও দুঃখ করে বললেন পীর সাহেব ইসলামের কথা বলেন অথচ যারা সারা দিন অফিসে  তার খেদমত করেন তাদের কাউকে এই বিবাহ অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রন করে নাই। তা হলে ষ্টাফদের মধ্যে পীর সাহেব বৈষম্য সৃষ্টি করলো না ? অতিরিক্ত, তত্ত্বাবধায়ক ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের মাঝ থেকে যাদের টাকা আছে, যারা তার মুরিদ হয়েছেন বা হবেন সারাদিন তোষামত করেন তাদের নিমন্ত্রন দিয়েছে। এ ছাড়া তার মুরিদানগনের মধ্যেও বিত্তবানদের নিমন্ত্রন করেছেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায় বিবাহে উপস্থিতির ৯০ % অতিথিগন টাকা উপহার দিয়েছে।““যার প্রমান  সংযুক্ত ছবিতে ” আর এই উপহারের পরিমান প্রায় ৩ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে তার বিশ্বস্ত ষ্টাফ  নাম না প্রকাশ শর্তে বললেন ।পীর সাহেবের  মেয়ের বিবাহে বাছাই করে অতিথি নিমন্ত্রন করবেন এমন আশা তার মুরিদগন বা ষ্টাফরা মনে করেন নাই। যে মানুষ পীর উপাধি নিয়ে  ও খানকায় বসে ওয়াজ মাহফিল করে সেই মনুষটি কি করে  মানুষের মাঝে শ্রেনী বিভাজন করে দেখে বা চলাফেরা করে ? এমন কর্মকান্ডের মন্তব্য তার মুরিদানের উপরই ছেড়ে দেওয়া হলো।এমন প্রশ্ন জেগে ওঠেছে  দপ্তরের কিছু আদর্শবান লোকদের মুখেও । আসলে কি তিনি পীর ? না দান্দাবাজ ? তার পোষাক, মোসন,তার লেফাজ এগুলি কি তার টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল ।সরল সহজ মানুষদের ধোকা দিয়ে মুরিদ বানিয়ে সহজে টাকা আয় করার একটা ফঁন্দি । যেমন একটা প্রবাদ বাক্য আছে  ““চোরা মুরগির মাংস খাওয়া জায়েজ নাই” কিন্তু জোল খাওয়া জায়েজ আছে “” আপনাদের পীর সাহেব কোন ভুমিকা পালন করলেন?  ভারতের“ মুর্শিদাবাদের জলাঙ্গী থানা” থেকে এসেছেন বলে ফ্যাসিবাদ সরকারের বিশ্বস্তাপান। যার ফলে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব দিয়েছিল। পীর উপাধী” আসলে ওটা একটা তার ভালো সাজার সাইনবোর্ড।তবে তার নামে একাধীক অভিযোগ দুর্নীতিদমন কমিশন  গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে ।

 

পানজামীর উপর কোটি পড়াই পীর সাহেব, কাটা চামচ দিয়ে খাচ্ছেন

 নিন্মে কিছু পীরদের ভিতরের দর্শন উল্লেখ করলাম ঃ

অলী উপাধী লোকজন কি কাটা চামচ দিয়ে খাবেন , গরীব লোকদের তার বাড়ীতে দাওয়াত দিবেন না, বড় লোকদের দাওয়াত দিবেন এটাই কি অলীদের দর্শন।

AI উত্তর

না, এটি অলীদের দর্শন নয়।

বরং, ওলীদের দর্শন হলো নম্রতা, আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার প্রতি অবিচল থাকা, যা সামাজিক বা অর্থনৈতিক ভেদাভেদ করে না। “ওলী” উপাধি একটি সম্মানসূচক পদ, যার মাধ্যমে আল্লাহ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সেবাপরায়ণতা বোঝানো হয়।

ওলীদের দর্শন সম্পর্কে কিছু তথ্য:

  • নম্রতা বিনয়:ওলীরা অত্যন্ত বিনয়ী হন এবং কখনও নিজেদের বড় মনে করেন না।
  • সবার প্রতি ভালোবাসা:তারা সকল মানুষের প্রতি, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সমানভাবে ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করেন।
  • আধ্যাত্মিকতা:তাদের মূল লক্ষ্য থাকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা ও আধ্যাত্মিক পথে অগ্রসর হওয়া।
  • নৈতিকতা:ওলীদের জীবনে মিথ্যা বলা, স্বার্থপরতা ও অন্যদের অসম্মান করার কোনো স্থান নেই।

অতএব, “কাটা চামচ দিয়ে খাওয়া” বা “গরীব লোকদের বাদ দিয়ে শুধু বড় লোকদের দাওয়াত দেওয়া” – এগুলো ওলীদের দর্শনের সম্পূর্ণ বিপরীত। এটি বরং অহংকার ও সামাজিক বৈষম্যেরই প্রকাশ, যা ওলীদের পথ নয়।

পীর সাহেব তার খানকায় ‍বাইয়াত করছেন

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীর পদে আসার আগে শামীম আকতার ছিলেন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এইচবিআরআই) মহাপরিচালক। সেখানে কখনও কখনও প্রকল্প পাস না করে, কখনও টেন্ডার হওয়ার আগেই কোটি কোটি টাকার কাজ পেয়ে যেতেন তার মুরিদ ঠিকাদাররা।মাসে লাখ টাকা বেতনে প্রকল্পের পরামর্শক, কর্মকর্তাপ্রকৌশলী থেকে বাবুর্চিমালীর মতো পদগুলোয়ও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল মুরিদদের। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তখন জমা পড়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।স্বৈরাচারী সরকারের দোষরগন দেখলেন শামিম আকতারের শরীরে ভারতের রক্ত বইছে। তার বাবার বাড়ী ভারতের মুর্শিদাবাদে । তাকে বিশ্বাষ করা যায় , কারন সরকারের সব চেয়ে  বিশ্বস্ত লোক বা বন্ধু হলো ভারত সেই  কারনে তার সব  অভিযোগকে চাঁপা দিয়ে  প্রধান প্রকৌশলী পদে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় । আর  এবার নীবিরভাবে  ঠান্ডা মাথায়  দুর্নীতি, অণৈতিক  সব রকমের কাজ  হওয়া শুরু করে। স্বৈরাচারী সরকারের  কোষাগারে একটা  মাসওয়ারা নীয়মিত জমা দিতেন বলে জানা যায়।

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী) গণপূর্ত অধিদপ্তরকে নিজের আস্তানা বানিয়েছেন। অনিয়মের সাথে জড়িত এসব প্রকৌশলীর একটি অংশ তার মুরিদবা শিষ্য হয়েছেন। এর বাইরে ঠিকাদারের একটি গ্রুপ রয়েছে যারা তার মুরিদ। মুরিদ হলে অনিয়ম করে পার পাওয়া যায়। ঠিকাদারি করলে দরপত্রের কাজ পাওয়া সহজ হয়। পীরের বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের কেউ কথা বললে তার বদলী আদেশের চিঠি চলে আসে। এই ভয়ে অনেকে তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না । ঠিকাদার মুরিদ এবং কিছু মুরিদ কর্মকর্তা নিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করে অধিদপ্তরে রাজত্ব করছেন প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আকতার। তার নেতৃত্বেই চলছে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি।প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার ও তার দুর্নীতির সিন্ডিকেট সদস্য-অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলমগীর খান ,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: কায়কোবাদ,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক,নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম,নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ওরফে ডিপ্লোমা মাহবুব, নির্বাহী প্রকৌশলী মো: কায়সার ইবনে সাঈখ, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ, নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস নির্বাহী প্রকৌশলী মাফুজুর রহমানম নির্বাহী প্রকৌশলী আজমল গং অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমেবাড়ি,প্লট,ফ্লাট,গাড়িসহ প্রচুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ গড়ে তুলেছেন।যা তাদের জ্ঞাত আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। উপরোক্ত সকলের নিজ ও পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয় পত্রের বিপরীতে সম্পদের অনুসন্ধান করলে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার ও তার সিন্ডিকেট সদস্যদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে উস্কানী প্রদান ও অর্থায়ন,ক্ষমতার  অপব্যবহার,অনিয়ম,দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবানও জানানো হয়েছে আবেদনে। এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্যে প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের  মুঠো ফোনে (মোবাইল ) ফোনে কল করলাম তা তিনি রিসিভ করেনী। শামীম আকতার বলে থাকেন সাংবাদিকগন লেখলে কিছু আসে যায় না।কারন যার হাতে আমার চাকরি সে-ই আমার মুরিদ”” সে তো আমার ভক্ত। কে আমার ক্ষতি করবে ? উপদেষ্টা ও সচিব থেকে মন্ত্রনালয়ের পিয়ন পর্যন্ত  আমার শিষ্য।

  • শেয়ার করুন