১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ৪:৪৫

গত ১৫ বছরের গুম-খুনে জড়িত মাফিয়া হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

বিশেষ সংবাদদাতা ঃ

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে ভিন্নমতের কারণে শত শত মানুষ গুমের শিকার হন। রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, আলেম, লেখক ও সাংবাদিকদের তুলে নিয়ে গোপন বন্দিশালায় আটকে রেখে নিষ্ঠুর  নির্যাতন করা হতো। গুমের শিকার অসংখ্য নিরীহ মানুষের এখনো খোঁজ মেলেনি। চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর কাউকে হত্যা করে মরাদেহও গুম করে ফেলা হত লাশের হদিসও পাননি স্বজনরা। শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে ভিন্নমত-পথ ও ভিন্ন রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের তুলে নেওয়ার কাজটি করত তার বিভিন্ন বাহিনী। গুম হওয়া মানুষগুলোকে রাখা হতো আয়নাঘর হিসাবে পরিচিত গোপন বন্দিশালায়। সেখানেই চালানো হতো নৃশংসতা। বন্দিদের নিজের নামে ডাকা হতো না। ছিল আলাদা কোড নেম। আর বিশেষ বন্দিদের নাম ছিল ‘মোনালিসা’। আয়নাঘরকে বলা হতো ‘আর্ট গ্যালারি’। গুমের শিকার ব্যক্তির হাত কেটে ফেলা হতো। নখ উপড়ে ফেলা হতো। ঘূর্ণায়মান চেয়ারে বসিয়ে বা ইলেকট্রিক শক দিয়ে ভয়ংকর রকমের সব নির্যাতন করা হতো। এমনই আরও অসংখ্য বীভৎস ঘটনার বর্ণনা উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার তদন্তে। বুধবার প্রসিকিউশন পৃথক দুই মামলার আনুষ্ঠানিক চার্জ (অভিযোগপত্র) দাখিল করে ট্রাইব্যুনালে। পরে শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক প্যানেল।

অভিযোগে র‌্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেল ও ডিজিএফআই-এর জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) কর্তৃক গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি সব ধরনের গুম-খুনের নির্দেশদাতা। দুই মামলার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় কমন আসামি শেখ হাসিনা ও তার সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। ২৮ আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ছাড়াও রয়েছেন তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার নিয়োগ পাওয়া গুম-খুনে জড়িত নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর ৫ জন সাবেক মহাপরিচালকসহ ২৩ জন সেনা কর্মকর্তা এবং ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে কর্মরত উচ্চপর্যায়ের ৪ জন কর্মকর্তা বিভিন্ন দপ্তরে এখনো বহাল আছেন। পুলিশের ৩ জনের মধ্যে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক খুরশিদ হোসেন ও ব্যারিস্টার হারুন-অর রশিদ। তারা পলাতক।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বুধবার ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। শুনানিতে দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারির আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই বিচারক হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

দুই মামলায় র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৭ জন এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) বন্দি রেখে নির্যাতনের মামলায় যে ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে, তাদের নাম-পরিচয় এবং অপরাধের বিবরণ তুলে ধরা হয় ট্রাইব্যুনালে। দুই মামলায় প্রধান আসামি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং ডিজিএফআই-এর সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকের নাম রয়েছে। দুই মামলার পরবর্তী শুনানির ধার্য তারিখ রাখা হয়েছে ২২ অক্টোবর।

এদিকে জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার ট্রাইব্যুনালে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল-এ সময়কালে দেশ শাসনে ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। আর এ শাসনামলে গুমের শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পতনের পর কেউ জীবিত ফিরেছেন। আবার কারও খোঁজ এখনো মেলেনি। তিনি বলেন, হাসপাতাল বা ক্লিনিক নামেও ডাকা হতো র‌্যাবসহ বিশেষ বাহিনীর এসব বন্দিশালাকে। আর গুমের শিকার ভুক্তভোগীদের বলা হতো সাবজেক্ট। তিনি বলেন, দুটি অভিযোগের মধ্যে একটি হলো গত ১৫ বছরে র‌্যাবের কিছু বিপথগামী সদস্য দ্বারা টিএফআই সেল এবং বিভিন্ন গোপন বন্দিশালায় ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, ব্লগারকে আটক রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। এসব হাজারো অভিযোগের মধ্য থেকে যেগুলো ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে ফরমাল চার্জ দাখিল করেছি। এর বাইরে ডিজিএফআই-এর কিছু বিপথগামী সদস্য যারা জেআইসি নামক যে সেন্টারটি আছে, সেটিকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের আটক রেখেছিলেন। সেটার ব্যাপারে আলাদা ফরমাল চার্জ দাখিল করেছি।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বন্দিশালা থেকে মুক্তি পেয়েছেন গুমের শিকার ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রয়াত জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম আরমান, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী, মাইকেল চাকমা, প্রয়াত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান প্রমুখ। এসব ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গুমের এ দুই মামলা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। গুমের শিকার ব্যক্তিরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে তারা গুমের শিকার হয়েছেন। দীর্ঘদিন তাদের আটক রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের কাছে তারা ন্যায়বিচার চান।

বুধবার সকালেই ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গুমের একটি মামলায় শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এতে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আসাদুজ্জামান খান ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন-সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল কেএম আজাদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান,র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম, র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল এবংর‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ আসামি ১৩ জন। এ মামলায়ও পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। এ মামলায় শেখ হাসিনা ও তারিক সিদ্দিকের সঙ্গে অন্য আসামিরা হলেন ডিজিএফআই-এর সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, ডিজিএফআই-এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, ডিজিএফআই-এর সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, ডিজিএফআই-এর সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, ডিজিএফআই-এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, ডিজিএফআই-এর সিটিআইবির সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, ডিজিএফআই-এর সিটিআইবির সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ডিজিএফআই-এর সিটিআইবির সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, ডিজিএফআই-এর সিটিআইবির সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ডিজিএফআই-এর সিটিআইবির সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক।

জুলাই অভ্যুত্থানে গত বছর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। এখনো সেখানেই রয়েছেন। তার সরকারের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও রয়েছেন ভারতে। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার দেবর তারিক সিদ্দিকও বিদেশে রয়েছেন। অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এ আদালত সচল করে।

মানুষের নাড়িভুঁড়ি কেটে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি আর না আসুক : ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এখন শত হাজারও তরুণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ। এই দেশকে এই জেনারেশন নতুনভাবে দেখতে চায়। আমরা কখনোই এখানে আবার গুম-ক্রসফায়ারের সংস্কৃতি ফেরত আসুক কিংবা মানুষের হাত-পা নাড়িভুঁড়ি কেটে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি আর কখনো ফিরে আসুক-এটা বাংলাদেশের কেউ আর চায় না। সে কারণেই আজকের এই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা। ইনশাল্লাহ আইনসম্মত উপায়ে দ্রুততম সমময়ের মধ্যে এটা নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হবে।

জেআইসি প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর বা ডিজিএফআই-এর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য, যারা জেআইসি নামক যে সেন্টারটি রয়েছে, সেই সেন্টারটিকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক বন্দিদের গোপন কারাগারে আটক রেখেছিল। এ নিয়ে আলাদা তদন্ত প্রতিবেদন ও ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) আমরা দাখিল করেছি। এ ঘটনার সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ র‌্যাবের ডিজিএফআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বেশকিছু কর্মকর্তাকে আসামি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছি আমরা। এর মাধ্যমে একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই যে, অপরাধ যারা করবেন, যারা আইনকে নিজের হাতে তুলে নেবেন, অপরাধীকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এটা ন্যায়বিচারের দাবি।

বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা রেদোয়ানুলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল : এদিকে জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। বুধবার সকালে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ। এ মামলার অন্য ৩ আসামি হলেন বিজিবির আরেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম মুন, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান।

শেখ হাসিনার মামলায় শেষ হলো সাক্ষ্য-জেরা, রোববার যুক্তিতর্ক : জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

  • শেয়ার করুন