প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের পর আমরা ভেবেছিলাম, দেশ থেকে ঘুষ-দুর্নীতি চিরতরে বিদায় নেবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সরকারি অফিসের দুর্নীতি আজও বন্ধ হয়নি। এসব রোধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো বাড়ানো দরকার। আমরা এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি।
পটুয়াখালীতে কথা বলছেন নুরুল হক নুর।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌর মঞ্চে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ
নুর বলেন, শিক্ষকদের বেতন সর্বোচ্চ হওয়া উচিত। শিক্ষকরা দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক ও জাতির পথপ্রদর্শক। তাদের ন্যায্য আন্দোলনকে আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন করি। সরকারের উচিত দ্রুত এই বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক পেশিশক্তি ও কালো টাকা বন্ধ করতে আমরা বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়েছি। এতে যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সে অনুযায়ী সংসদে প্রতিনিধিত্ব পাবে। তাহলেই একক দলের মাতব্বরি ও প্রভাব খাটানো বন্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি অফিসে দুর্নীতি রোধ করতে প্রয়োজনে কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ বা তিনগুণ করা হোক, কিন্তু দুর্নীতি চলবে না। ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে।
সম্প্রতি দলের ওপর হামলার প্রসঙ্গে নুর বলেন, হামলাকারীরা দেখতে চেয়েছিল আমরা এক আছি কি না। তারা দেখেছে বিএনপি, জামায়াতসহ সব বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ। সেই ঐক্য দেখেই তারা পিছু হটেছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম ও মো. রবিউল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলার আহ্বায়ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সদস্যসচিব মো. শাহ আলম সিকদার, গলাচিপা উপজেলার আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমান, দশমিনা উপজেলার আহ্বায়ক মো. লিয়ার হোসেন, বাউফল উপজেলার আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, বরিশালের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদ সহসভাপতি আবু নাঈম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফারুক হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।