১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,সকাল ৯:০৫

প্রবীণ কয়েকজন সাংবাদিক নেতাদের অলৌকিক হাতের ছোঁয়াই অপসাংবাদিক সৃষ্টি হয়েছেন !

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

প্রবীণ কয়েকজন সাংবাদিক নেতাদের অলৌকিক হাতের ছোঁয়ায়  কিছু অপসাংবাদিক  সৃষ্টি হয়েছে । যার ফলে তাদের দৌড়ঝাঁপে  কথা-বার্তায় ও কর্মকান্ডে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকগনের দিন দিন মানহানি হচ্ছে ।

 মোঃ হুমায়ুন কবির ঃ

প্রকৃত গণমাধ্যমকর্মী যারা তাঁরা জানেন একটি জাতীয় পত্রিকা বা টেলিভিশনের  ( কোন চ্যানেলে ) সংবাদ প্রকাশের ক্ষমতা ও দায়িত্ব বার্তা সম্পাদক ও সম্পাদকের উপরেও বর্তায়। একজন প্রতিবেদকের দায়িত্ব হলো সংবাদ পাঠানোরই ,কিন্তু সংবাদটি প্রকাশিত হবে না হবে তা নির্ধারণ করেন প্রথমে বার্তা সম্পাদক। তারপর  সম্পাদকেরও মতামত নিতে হয়। এই বিষয়েও জানেন না আমাদের অপসাংবাদিকরা কিন্তু তারা সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতা পরিচয় দেন। একটি সংবাদ লেখার উপরে অনেক সময় বৃত্তি করে যে সংবাদটি প্রকাশ করা উচিত না অনউচিত। যার ফলে পত্রপত্রিকায় বা চ্যানেলে যারা কাজ করেন  তাদের  সকলের জানা উচিত সংবাদটি লেখা শৃঙ্খলিত, নৈতিকতার ও বিবেকের  মধ্যে হতে হবে। সে-টি আপনি পালন করছেন কি না সে দিকে আপনার লক্ষ রাখতেই হবে । তারপরও সঠিক তথ্য যাচাই, উপস্থাপন আর ভাষার শুদ্ধতা সব মিলিয়ে হবে এই পেশার প্রতিফলন। এজন সাংবাদিক ঘাত প্রতিঘাত খেয়ে অফিস আদালতে ঝড় বন্যায় ছুটে সংবাদ সংগ্রহ করেন। বড় আশা করে অফিসে পৌছে তার সারা দিনের কষ্ট করা লেখাটি জমা দেয়।পরের দিন সকাল পর্যান্ত অপেক্ষা করেন তার লেখা তথ্যটি প্রকাশ হয়েছে কি না।এভাবে নানান কষ্ট জল্পনা- কল্পনা পার করে একদিন একজন সাংবাদিক হিসাবে পরিচিত লাভ করেন। আর এখন কিছু না লেখেই সাংবাদিক ।হায় –এটা কেন ?     কারন হলো আমাদের প্রবীণ কয়েকজন সাংবাদিক নেতাদের অলৌকিক হাতের ছোঁয়াই অপসাংবাদিক সৃষ্টি হয়েছেন। আর তাদের অতি প্রশ্রায়  অকর্মা কিছু লোক সংবাদলেখার সংজ্ঞা জানেন না, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কৌশল জানেন না,সংবাদ সংগ্রহ বা সংবাদ লেখতে জানেনা, কোন পত্রিকায় কোন দিন বসে ডেক্সেও এক কলম লেখে নাই অথচ তারা সাংবাদিক।  সুধু তারা  সাংবাদিক পরিচয় দেন তা না তারা সাংবাদিক নেতা হওয়ার জন্য কালবৈশাখির ঝড়েরমত ছুটে। আসলে এদের মনোভাব কি ? কিছু না জেনেও কিছু না লেখেও সাংবাদিক পরিচয় দেয়াসহ সাংবাদিক নেতা হতে চায় এর রহস্য কি ? আর আমরা যারা পেশাদার সাংবাদিক ৫/১০ বছর বা ২০/৩০ বছর সাংবাদিকতা করছি তারা যাদের পবিত্র ভোট দিয়ে ইউনিয়নের ও বিএফইউজে “র নেতা বানিয়েছি তারাও বা ঐসব অপকর্মাদের নেতা হওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে  কেন ? আমি আমার এই লেখার মাধ্যেমে বলতে চাই দয়া করে আপনারা অসাংবাদিককে সাংবাদিক বা সাংবাদিক নেতা হওয়ার সুযোগ করে  আর দিবেন না।কারন এদের জন্য একজন পেশাদার সাংবাদিক, সাংবাদিক জগতে তার সন্মান সঠিকভাবে পায় না। একজন সাংবাাদিক একদিন প্রধান প্রতিবেদক হবেন, বার্তা সম্পাদক হবেন, সম্পাদক হবেন, আবার তারাই ইউনিয়নের ও বিএফইউজে র“ জাতীয় প্রেস ক্লাবের- মহাসচিব ও সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক হবেন এ আশা তারা করেন।কিন্তু অসাংবাদিকদের নেতা বা সাংবাদিক বানালে পেশাদার সাংবাদিকদের মানহানি করা হয়। যারা জী হুজুর ,জী হুজুর, চামচামি, আজ একজনার সুনাম বাবার মতন, কাল আর এজনার বদনাম বলে রীতিমত নেতাদের সান্নিধ্যে জড়িয়ে থাকে তারা পতিতাবৃত্তি নারীর মত।তাদের স্বার্থ উদ্ধার হয়ে গেলে আপনাকে ফেলে দিতে বিন্দুমাত্রও চিন্তা করবে না। কারন তাদেরতো কোন চাকরির সুযোগ নেই, লেখার অভিজ্ঞতা নেই ,সম্পাদক বা প্রকাশক হওয়ার যোগ্যতা বা টাকা নেই ? ঘরে বাইরে বসার ছিট নেই”  পরিবারের কাছে গন-গনানি বেকার আর কত দিন থাকবে ? কি করে খাবে ? যার ফলে একটাই সুযোগ সাংবাদিকদের নেতা হলে রাজনৈতিক ও সরকারী অফিস আদালতে ফায়দা লোটা যাবে।যার ফলে ২/৪ জন আরও অলস সজন নিয়ে নেতাদের সান্নিধ্যে সারাদিন লেগে থাকেন। আর ক্লাবের বাহিরে সাংবাদিক পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ান।

সাংবাদিকতা কোনো সন্ত্রসী বা ভুমিদখল বা রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রদর্শন নয়। সাংবাদিকদের কাজ রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে, জনকল্যাণমুখী কাজে বিবেক খাটিয়ে লোভকে সামলিয়ে স্থির থেকে সংবাদ প্রকাশ করা। যারা সাংবাদিক হতে চান তাদের উচিত নীয়মিত প্রথম সারির পত্রিকার লেখার ধরন দেখা, সাংবাদিকতার বইপত্র পড়া, সিনিয়রদের সহযোগিতায় কোন পত্রিকা অফিসে বসে কাজ শিখে নেওয়া।তা না করে সারাদিন  চাঁদাবাজি ও দান্ধা করে আর নেতাদের ঘন ঘন সালাম দিয়ে, পা-টিপে টিপে তাদের চামচামি করে পদ দখল করলে হয়তো আজ চলতে পারবেন। কিন্তু বয়স যখন ভারী হবে কেহ আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে না। সাংবাদিক জীবনটা শিক্ষা আর সততা ও বিবেকের উপর নির্ভর করে।সাংবাদিক চাকরি সকালে আছে বিকালে নাই। কিন্তু সাংবাদিকতায় শিক্ষা থাকলে, লেখতে জানলে, সততা থাকলে আপনি বিপদে পরলে মানুষ আপনাকে সাহায্য করবে। আর নেতারা আপনাকে যুবতি মেয়েদের মত এখন ভালোবাসে, সময় ফুরিয়ে গেলে আর কাছে ডাকবে না। তখন আপনার  উপায় হবে কি ? আপনি কি করে খাবেন? আরে ক্লাবে আসতে হলেওতো টাকা লাগবে, পাবেন কোথায় ?

  • শেয়ার করুন