১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ৪:২৫

দুপুরে খাবার না খেলে যে সব শরীরের ঘাটতি হয়

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

লাইফস্টাইল ডেক্স ঃ

সংগৃহীত ছবি

প্রতিদিন দুপুরের খাবার সময়মতো না খেলে শরীরে বড় ধরনের ক্ষতি হয়। প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর চর্বি খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। সময় কম থাকলে স্যুপ, ফল বা স্যান্ডউইচ জাতীয় হালকা পুষ্টিকর খাবার খেয়ে নিন।

চাইলে আগে থেকেই দুপুরের খাবার কি খাবেন, তা পরিকল্পনা করে রাখা উচিত। ওজন কমাতে খাবার এড়িয়ে যাওয়া নয়, বরং প্রোটিন কন্ট্রোল ও সঠিক টাইমিং অনুসরণ জরুরি।

মনে রাখবেন, নিয়মিত দুপুরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাদ দেওয়া সাধারণ বিষয় মনে হলেও এটি ধীরে ধীরে শরীরের ভয়ানক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

হজমশক্তি থেকে শুরু করে হৃদযন্ত্র, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মস্তিষ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রভাবিত হয়। সে জন্য সচেতন হয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর উপাদানে দুপুরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

কারণ কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই দুপুরের খাবার সময়মতো খেতে পারেন না কিংবা কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়ে থাকেন। আবার অনেকেই ডায়েটের জন্য দুপুরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। মাঝে মধ্যে না খেয়ে থাকার কারণে কিছুটা উপকার মিললেও নিয়মিত দুপুরের খাবার বাদ দিলে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

নিজেকে ফিট রাখার জন্যও কেউ কেউ নিয়ম করে প্রতিদিনই দুপুরের খাবার বাদ দেন। কিন্তু এভাবে খাবার বাদ দেওয়ার কারণে শরীরের যে ক্ষতি হয়, তা অনেকেই জানেন না। দুপুরে খাবার খাওয়া বাদ দিলে শরীরে যে ক্ষতি হয়, সে ব্যাপারে জেনে নিন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, দুপুরে না খেলে শরীরে কি ক্ষতি হয়

প্রথমত রক্তে শর্করার মাত্রা উঠানামা করে। দুপুরে খাবার খাওয়া বাদ দিলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ঘাম, কাঁপুনি— এমনকি জ্ঞান হারানোর আশঙ্কাও দেখা দেয়। আবার এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে এর প্রভাবে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি কমে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

এ ছাড়া পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে। দুপুরে খাবার বন্ধ করার কারণে ফাইবার, আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন বি১২ ও ক্যালসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয় শরীর। ফলে চুল পড়া, ত্বক রুক্ষ হওয়া, ক্লান্তি বোধ হওয়া এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসের মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

আবার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়বে। জিঙ্ক, ভিটামিন সি ও প্রোটিনের ঘাটতি থেকে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এ কারণে ভাইরাল সংক্রমণ, ঠান্ডা-কাশি— এমনকি গ্যাসট্রো-ইনফেকশন পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

  • শেয়ার করুন