১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,রাত ১:০০

বিএনপি“র নেতা কর্মীরা শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ নীতি ও শাসন ব্যবস্থা ও বিএনপির চারটি মূল স্তম্ভ সম্মন্ধে জেনে নিন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

হিমু ;

যারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল করেন তাদের উচিত শহীদ জিয়াউর রহমানের  আদর্শতা ও দর্শনের দিকে লক্ষ রেখে এবং তাঁর চার মুল স্তম্ভকে ফলো করে জাতীয়তাবাদ দলে যোগদান করা বা জাতীয়তাবাদ দল করা। উড়ে এসে জুরে বসে, সন্ত্রাসী করে, গায়ের জোড় দেখিয়ে এই দল করা বিএনপি”র  আদর্শে পরে না। নিজের আদর্শ ঠিক করুন, বিবেককে প্রশ্ন করুন আপনি কি করবেন । নিচের লেখাগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন । বিএনপি, বিএনপি করেন,, আসলে বিএনপি কি জেনে নিন।

শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ ছিল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, যার মূল ভিত্তি ছিল সততা, দেশপ্রেম, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা শোষণমুক্ত সমাজ এবং তাঁর শাসনব্যবস্থায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রধান নীতি। তিনি ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা এনে সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ তৈরি করেন।

আদর্শ দর্শন:

  • বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ:এটি ছিল জিয়াউর রহমানের দর্শনের মূল ভিত্তি, যা জাতীয় স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব ও আত্মমর্যাদার ওপর গুরুত্ব দেয়।
  • শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ:তাঁর রাজনৈতিক লক্ষ্য ছিল শোষণ ও বৈষম্যহীন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
  • সততা দেশপ্রেম:তিনি সততা ও দেশপ্রেমকে রাজনীতির মূলনীতি হিসেবে দেখতেন।
  • জনগণের উন্নয়ন:তাঁর ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি জাতির ভাগ্যোন্নয়নের পথ দেখান।

শাসন ব্যবস্থা নীতি:

  • বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন:তিনি বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা করেন।
  • স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা:গ্রাম পর্যন্ত ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ১৯৮০ সালে গ্রাম সরকার ব্যবস্থা চালু করেন।
  • অর্থনৈতিক উন্নয়ন:দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যান।
  • জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ:জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ‘এক ছেলে এক মেয়ে’ নীতি প্রচার ও বাস্তবায়নে পরিবার পরিকল্পনা কর্মী নিয়োগ করেন।
  • নৈতিক ভিত্তি ন্যায্যতা:আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নৈতিক ভিত্তি ও ন্যায্যতা তুলে ধরেন।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক:

  • স্বাধীনতার ঘোষক বীর সেনানায়ক:১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে বিদ্রোহ করে ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
  • গণতান্ত্রিক বৈধতা:রাষ্ট্রপতি হিসেবে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য আস্থা গণভোটের আয়োজন করেন।
  • দূরদর্শী নেতৃত্ব:তাঁর নেতৃত্ব শুধু যুদ্ধক্ষেত্রেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হয়েছিল।

বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) চারটি মূল স্তম্ভ হলো 

 জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ইসলাম বাঙালি জাতীয়তাবাদ। এই চারটি আদর্শকে ধারণ করে দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এগুলোই বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তি।

চারটি স্তম্ভের ব্যাখ্যা:

  • জাতীয়তাবাদ:দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রাখাই এই স্তম্ভের মূল লক্ষ্য।
  • গণতন্ত্র:জনগণের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন ব্যবস্থা এবং বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
  • ইসলাম:ইসলাম ধর্মের মূল নীতি ও আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন, যা সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
  • বাঙালি জাতীয়তাবাদ:বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাষা সংরক্ষণ করে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনে বিশ্বাস স্থাপন।

এই চারটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা হয়

 

  • শেয়ার করুন