প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঃ
গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তর, গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-২, চট্টগ্রাম এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মহিবুল ইসলাম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল সরবরাহ ও অন্যান্য ক্রয়ে কোটি কোটি টাকার দূর্নীতির অভিযোগ থাকায় তার আস্থাভাজন ওস্তাদ ( পীর ) শীর্ষকে বাঁচানোর জন্য ৫ আগস্টের পর মহিবুলকে চট্টগ্রাম বিভাগে বদলী করেন।
নিজস্ব প্রতিনিধি : গণপূর্ত অধিদফতরের ই/এম বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মহিবুল ইসলাম থাকাকালে কাজ না করেই বিল উঠিয়ে নেয়, নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে কাজ করান, আউটসোর্সিংয়ের নামে জনবল নিয়োগে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ থাকার পরও এই প্রকৌশলী এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার বলেছেন, দুর্নীতি করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না, কথাটি সম্পুর্নই ভুয়া। যেমন তার প্রধানমন্ত্রী মুখে যা বলতেন তার বিপরিত করতেন ঠিক তার শীর্ষ পীর একই ধরনের কাছ করে যাচ্ছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে একথাও মিথ্যা । স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে সংস্কার কাজে কোনো টেন্ডার না করেই নিজে করতে গিয়ে মেডিকেল কলেজের পরিচালকের কাছে ধমকও খেয়েছেন। এরপর নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সেল এন্টারপ্রাইজকে (হাউজ নং- ২৯১/৫ /২, পাইকপাড়া) কাজ পাইয়ে দিয়েছেন।
অনেক ঠিকাদারকে কাজ দিবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে অগ্রিম টাকা নিয়ে কাজ তো দেননি, এমনকি টাকাও ফেরত দিতে গড়িমসি করছেন। তড়িঘড়ি করে জিও এনে প্রকৌশলি মহিবুল হাসান যখন নিজেই ঠিকাদার।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মহিবুল ইসলাম (গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-২, চট্টগ্রাম। তিনি ঢাকায় থাকাকালিন নিজেই ঠিকাদারী পরিচালনা করতেন। যেটি সরকারি চাকুরী বিধি অনুযায়ী মোতাবেক নয়। গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মহিবুল ইসলাম (গণপূর্ত ই/এম বিভাগ- ৪ ঢাকায় থাকাকালিন আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে একাধিক জনবল সরবরাহের জন্য নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে দরপত্র আহবান করছেন।এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজেশে নিজেই ঠিকাদারী পরিচালনা করতেন।। যে কারণে উক্ত দরপত্রে জনবল সরবরাহের লাইসেন্স অর্থাৎ কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স বাধ্যতা মূলক না করে পি ডাব্লিউ ডি লাইসেন্স বাধ্যতা মূলক করেছেন, যেন প্রকৃত জনবল সরকরাহকারী কোন প্রতিষ্ঠান উক্ত শর্ত পূরণ করে সিডিউল ক্রয় করতে না পারে, যাহা জনবল সরবরাহের জন্য প্রযোজ্য নয়। উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মহিবুল ইসলামের মুফো ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।