১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,দুপুর ১২:১৩

ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা নতুন মেরুকরনে দুর্নীতি করছে !

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

সাদিয়া আলম

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ

 সাদিয়া আলম ঢাকা কাস্টম হাউসের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হিসেবে দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ, আদায় এবং শুল্ক আইন প্রয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকেন। শুল্ক বিভাগের অংশ হিসেবে তিনি কাস্টমসের কার্যক্রম পরিচালনা করেন, যার মধ্যে পণ্যের সঠিক মূল্যায়ন এবং রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করাও অন্তর্ভুক্ত।কিন্তু  তিনি আমদানি হওয়া ও রপ্তানি করা পণ্যের উপর নির্দিষ্ট শুল্ক আরোপ ও তা কার্যকরভাবে আদায় করার স্থানে তার ইচ্ছা অনুসারে অনেক ফাইলেই শুল্ক চাঁপিয়ে দেন। এর কারন হলো তার চাহিদা পুরন না করলেই এমন ধরনের  কর্ম করেন । এছাড়াও তার চাহিদা পুরোন না করা পর্যন্ত অনেক সময় ফাইলও ছাড়েন না। বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা ধারা করান যাহা আমদানি বা রপ্তানি কারকের পুরোন করা সম্ভব নয়। যার ফলে তার সাথে ব্যবসায়িরা তর্কে না জড়িয়ে  তার সাথে মিটমাট করেই মালামাল ছাড়াতে হয় বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সুত্রে তথ্য পাওয়া। বিষয়টি নিয়ে  সিএনএফ ( CNF ) এর  লোকজনের সাথে  কথা বলে জানা  গেল  নাম না প্রকাশ শর্তে সাদিয়া আলম  সততার  ভাব ধরে কিন্তু তার চাহিদা মত ঘুষ দিতে  হয়। কেহ  ঘুষ  দিতে রাজি না হলে মালপত্রের সঠিক ইন ভয়েস থাকার পরেও ছাড়পত্র নিয়ে জামেলা করে। এ ব্যাপারে সাদিয়া আলমের সাথে যোগাযোগের  সুত্র খোজা হলে তার নাম্বার ওয়েব সাইটে পাওয়া যায়নি।

কাস্টমস হাউসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও ঘুষবানিজ্য এটা নতুন কোন বিষয় নয়। এটা আদিকালের রোগ বা ব্যাধি বলতে পারেন। যারা কাস্টমস হাউসে আসেন তারা ব্যবসায়িদের কাঁচা টাকা দেখলে লোভ সামলাতে পারেন না।যার ফলে কাষ্টমস হাউসে বৈধ ভাবে শুল্ক পরিশোধ করে পণ্য খালাস নেওয়ার চেয়ে কাস্টমসের অসাধু কর্মকর্তা ও চোরাচালান সিন্ডিকেট এর মাধ্যেমে ডেলিভারি বেশি হয় ও করা সহজ বলে মনে করেন সিএন এফ এজেন্টের বেশ কিছু মালিকগন। কারন এখানের পিয়ন থেকে কমিশনার পর্যন্ত অফিসারগন দুর্নীতির ও ঘুষের সাথে ওতপরোতোভাবে জড়িত।এদের মধ্যে অনেকের নামেই দুর্নীতি দমনে অভিযোগ রয়েছে। আবার কেহ দেশ থেকে পালিয়ে বিদেশে গেছে। কাস্টমস হাউসের একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন,  সাদিয়া আলমও তেমনি তবে সরাসরি ঘুষ গ্রহণ করেন না। তবে তার চাহিদামত উৎকোচ না দিলে পণ্যের ছাড়পত্র দিতে বিলম্ব করেন, এমনকি হয়রানিমূলক জটিলতা তৈরি করেন। দিনের পর দিন ফাইল ফেলে রাখেন বলে  অভিযোগ রয়েছে।বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হন না“ সি এন এফ” এর লোকজন জাশেরা পরার ভয়ে।  আর ওখানে কিছু সাংবাদিক আছেন তারা প্রেকাশ করেন না  তাদের সাপ্তাহিক মাসিক মাসওয়ারা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে ।কিন্তু দিন দিন যে দুর্নীতির হার ভেড়ে যাচ্ছে  ক্ষতি হচ্ছে জনসাধারন সে দিকে লক্ষ  নেই কারো।

 

 

সাদিয়া আলম চলতি বছরের মার্চ মাসে ঢাকা কাস্টমস হাউসের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারী কমিশনার ( কাস্টমস, এক্সাইজ এবং ভ্যাট ) হিসাবে যোগদান করেন।যোগদানের পুর্বে ২০২২ সাল হতে ২০২৫ এর মার্চ পর্যন্ত খুলনার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে কর্মরত ছিলেন। ঢাকায় যোগদানের পরও তার চালচলন ছিল সততার কিন্তু আস্তে আস্তে তা পরিবর্তন হতে থাকে।যার ফলে সাদিয়া আলমের চাহিদার অভিযোগটা একেবারেই ফেলে দেওয়ারমত নয়।তবে তিনি অন্যসব কমিশনারদের বা রাজস্ব কর্মকর্তাদেরমত একেবারেই ওপেন নয়।তিনি  সব সময় হাসি খুশি  থাকেন. মিষ্টি ভাষায় কথা বলেন। কিন্তু  বিচক্ষন বুদ্ধি খাটিয়ে অতি গোপনে উৎকোচের বিষয়টিু নিরবভাবে মুখ বুঝে সমাধান করার চেষ্টা করেন বলেও জানা যায়। সিএনএফ এর লোকজন তার সততার উপর বিশ্বাস রেখে আনন্দভাব প্রকাশ করছিল কিন্তু তা তিনি অল্প দিনের মধ্যেই ভেঙ্গে ফেলেছেন বলে একাধিক আমদানি কারন জানান। সম্প্রতিকালেই ৩ জন রাজস্ব কর্মকর্তার নামে উপদেষ্টার দুদকে ও রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের দরবারে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দাখিল করেছে।যাহা তদন্তসহ বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে।অপরদিকে ১৬ জন  কাস্টমস কর্মকর্তার দুর্নীতির বিষয়ে দুদক তদন্ত করছে।

  • শেয়ার করুন