
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অনৈতিক, অবৈধ কাজসহ দুর্নীতির নানান অভিযোগ লোক সমাজে চাউর হচ্ছে। বিষয়টি সম্মন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গেলে জনৈক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ শর্তে বলেন যে নিয়োগে, বদলীতে, বস্তা সরবরাহে, নিম্নমানের চাল সংগ্রহে ঘুষ বাণিজ্যের মতো বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রতিনিয়ত হচ্ছে।বেশি দুর্নীতিগুলো যেমন – নিয়োগ, খাদ্যশস্য সংগ্রহ এবং গুদাম ব্যবস্থাপনায় ঘটে থাকে। এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে বলে জানা গেছে, তবে অনেক ক্ষেত্রে ধীর গতিতে অগ্রসর হচ্ছে।
বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম
- নিয়োগ দুর্নীতি: খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যার তদন্ত করছে দুদক।
- বস্তা সরবরাহে অনিয়ম: আমন সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় খালি বস্তা সরবরাহে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে সরবরাহে অস্বচ্ছতা দেখা গেছে।
- নিম্নমানের চাল সংগ্রহ: আমন ধানের বদলে নিম্নমানের বোরো চাল সংগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে খাদ্যগুদামে, যা দুর্নীতির একটি অংশ।
- ঘুষ ও ঘুষ বাণিজ্য: খাদ্য বিভাগের বিভিন্ন স্তরে লাইসেন্স নবায়ন, মিলের বরাদ্দ প্রাপ্তি এবং চুক্তির চাল সরবরাহের জন্য মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। খুলনার খাদ্য বিভাগেও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
- কোটি টাকা লোপাট: চাঁপাইনবাবগঞ্জের খাদ্যগুদামে সহকর্মীর বিরুদ্ধে কোটি টাকা লোপাটের মতো গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগও পাওয়া গেছে।
- দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের রন্ধ্রে রন্ধ্রে: খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ।
- দুর্নীতি দমন কমিশনের ভূমিকা
- নিয়োগ দুর্নীতিসহ খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে। তবে, দুদক ধীরগতিতে এই তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এই বিষয়গুলো খাদ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রমের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং জনগণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করছে