৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,বিকাল ৪:৪৩

শিরোনাম
জাতীয় নির্বাচনকে ডাকসুর সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডাকসু নির্বাচন গণতন্ত্র অভিমুখী বিশাল পদযাত্রা : আসিফ নজরুল ডাকসুর মধ‍্য দিয়ে নির্বাচনের ট্রেনে উঠল বাংলাদেশ : উপদেষ্টা ফারুকী ডাকসু নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হোক : উপদেষ্টা আসিফ প্রযুক্তিনির্ভর বন নজরদারিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ মিঠামইন প্রকল্পসহ বেশকিছু ইউজলেস প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল:নৌপরিবহন উপদেষ্টা ডাকসু নির্বাচন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া অন্য কেউ অস্ত্র বহন করতে পারবেন না ডাকসু নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না : সেনাবাহিনী ঢাবি প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

শেয়ারবাজারে টাকা খাটানোর ৫টি কৌশল

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

শেয়ারবাজারে না বুঝে বিনিয়োগ করলে বিপদে পড়তে হতে পারে। মাথায় হাত পকেট খালি। একটি কোম্পানির শেয়ার কেনার আগে নানা ধরনের বিশ্লেষণ বিবেচনা করতে হবে তা না হলে ঝুঁকি বাড়বে।

সঠিকভাবে ভেবেচিন্তে বিনিয়োগ করলে মুনাফার সুযোগ বাড়ে। তাই কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির শেয়ার কেনার আগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বালোভাবে ভাবতে হবে।

কোম্পানির সুনাম ও সুশাসনঃ

শেয়ার কেনার আগে ওই কোম্পানির নিয়ম-নীতি মালা, মালিকানা কাঠামো এবং পেশাদারি ব্যবস্থাপনা আছে কি না, তা যাচাই বাছাই করতে হবে।

একটি কোম্পানির আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন একজন বিনিয়োগকারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই শেয়ার কেনার আগে দেখুন, এই কোম্পানির নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠিত নিরীক্ষক দিয়ে করা হয়েছে কি না। কারণ, ভালো নিরীক্ষক দিয়ে অডিট করা হলে আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভরসা করা যায়। অখ্যাত নিরীক্ষক ব্যবহার করলে সেই কোম্পানির তথ্যের সঠিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকে।

শেয়ারের দাম ঠিক আছে কি না

যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন, এই শেয়ারের দাম বেশি নাকি কম, তা বুঝতে হবে। এ জন্য প্রাইস টু আর্নিং (পিই) রেশিও ব্যবহার করতে পারেন।

অন্যদিকে শুধু এক প্রান্তিকের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেবেন না। অন্তত ৩ থেকে ৫ বছরের আয় ও এনএভি (নেট অ্যাসেট ভ্যালু) দেখে নিন।

আয় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা

আপনি শেয়ারে বিনিয়োগ করেন লাভের আশায়। কোম্পানির ভবিষ্যতে আয় বাড়বে কি না, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কোম্পানি যদি নিয়মিত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে আয় বাড়ায়, তবে তার শেয়ারের দাম বাড়াটাও যৌক্তিক। কোনো বছরে বেশি মুনাফা হলো, তা দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। কোম্পানির টেকসই মুনাফা বা আয় আপনাকে লভ্যাংশ দেবে।

লভ্যাংশ ও মুনাফার সুযোগ

বিনিয়োগের আগে কোম্পানির লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা দেখুন। পাশাপাশি শেয়ারের দাম বাড়লেও মূলধনি মুনাফা পাওয়া সম্ভব।

ব্যবসার টেকসই ভবিষ্যৎ

কোম্পানিটির ব্যবসা দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকবে কি না, তা যাচাই করুন। বাজারে প্রতিযোগিতায় এই কোম্পানির অবস্থান কেমন; ভবিষ্যতে ব্যবসা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা আছে কি না, তাও দেখতে হবে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ মানেই ধৈর্য ধরা। ধৈর্য হারালে চলবে না। আবার দ্রুত লাভের আশাও করা যাবে না।

শেয়ারবাজারের মূল কথা হলো, কম দামে কিনুন, বেশি দামে বিক্রি করুন। তাই যাচাইবাছাই করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে কোম্পানির শেয়ার কিনুন।

  • শেয়ার করুন