প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে এই ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ শুরুর আগে থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে দীর্ঘ লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন।
মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) ভোট শুরুর পরপরই তিনি তার ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন।
তিনি আরও লেখেন, এরপর চলে আসবে জাতীয় নির্বাচনের ট্রেন। সবাইকে নির্বাচন মোবারক!
তিনি ফেসবুকে আরও লেখেন, যে ভোট রাতেই করে ফেলা যায় সেটা দিন পর্যন্ত রাখা হলো কেনো? সময়ের কাজ সময়ে না করা এই জাতির বড় দুর্বলতা। ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে লাইলাতুল ইলেকশনের জননী, ব্যাংক লুটেরা, গুমের মাস্টারমাইন্ড, বিডিআর-পিলখানা-জুলাই ম্যাসাকারের প্রধান পরিকল্পনাকারী, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি খুনি হাসিনা যে কথা বলেনি।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ডাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ চলছে। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোটের বিপরীতে ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন। ডাকসুতে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হবে। এবারের ডাকসু ভোটে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে অন্তত ১০টি প্যানেল অংশ রয়েছে। এর বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন প্রার্থীদের আরেকটি অংশ।
এবারের নির্বাচনে রয়েছে- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), সাতটি বাম ছাত্র সংগঠনের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’, জুলাই আন্দোলনের নেত্রী উমামা ফাতেমার ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’, ছাত্রশিবির, তিন বাম সংগঠনের ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ অন্তত ১০টি প্যানেল।