প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৫
যুবদলের আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক শামীম তালুকদার।
ঝালকাঠি সংবাদদাতা ঃ
ঝালকাঠির বিএনপি রাজনীতিতে ত্যাগ, সাহস ও অটল নেতৃত্বের প্রতীক সাহসি যোদ্ধা হিসেবে গত ১৬ বছরে অগ্রনি ভুমিকা রেখে আসছিলেন সাবেক জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক শামীম তালুকদার। ৫ আগস্ট (সোমবার) ছাত্র-জনতার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও তীব্র প্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে এবং বাংলাদেশ স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্তি পায়।নির্যাতিত মানুষের মুখে হাসির বন্যা বয়ে যায়।স্বস্তির নিঃশ্বাষ ছাড়ে মানুষের মনে নতুনভাবে বাঁচার আশা জাগে। ঠিক এই মুহূর্তে কি এমন ঘটেছিল যে স্বৈরাচারি সরকার পালিয়ে যাওয়ার চারদিনের মাথায় ৯ আগস্ট ২০২৪ শামীম তালুকদারকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করতে হলো। কারা তার পিছনে ওত পেতে ছিল যে হৈ হুল্লার মাঝে নির্যাতিত ,কারাভোগি লোকটিকে দল থেকে বহিস্কার করিয়ে ছাড়লো। যা ঝালকাঠি জেলার আমজনতা মানতে পারছে না।বিষয়টি নিয়ে যুবসমাজসহ সকলশ্রেনীর মানুষের মাঝে বিভ্রান্তকর সৃষ্টি হয়েছে। কোন মানুষই সহজভাবে এই বহিষ্কার মেনে নিতে পারছে না।অতিসত্তর এই আদেশ বাতিল করে সুযোগ্য এই সূর্য সন্তানকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনারও দাবী করলেন।
সাবেক জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি ছিলেন ঝালকাঠি জেলার রাজপথের সামনের সারির লড়াইয়ের সংগ্রামী যোদ্ধা।ফ্যাসিবাদ সরকারের ভয়াল দুঃসময়ে, যখন আন্দোলন করা মানেই ছিল গ্রেপ্তার, নির্যাতন, মামলা- হামলা তখন শামীম তালুকদার ছিলেন রাজপথে সবচেয়ে নির্ভীক সৈনিক।অসংখ্য নেতা-কর্মীকে তিনি আশ্রায়-প্রশ্রয়সহ সাহস যোগিয়েছিলেন, দিয়েছিলেন, সংগঠনকে পথনির্দেশনা ও ঐক্যের শক্তি।তার এই অবিচল ভূমিকার কারণেই ক্ষমতাসীনদের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে অগণিত মিথ্যা রাজনৈতিক হিংসার মামলা। ঐ স্বৈরাচারি সরকার মামলাগুলো দিয়েছিল একমাত্র শামীম তালুকদারকে বাকপ্রতিবন্ধি করার উদ্দেশ্য ও তাকে স্তব্ধ করে বিএনপি দলের আন্দোলনের শক্তিকে নিস্তব্দ করে ফেলার জন্য। সেই সময়ে জীবন মরনের বাজি রেখে ঝালকাঠি জেলার বিএনপিকে যে মানুষটি সব সময় তরাম্বিত করে রেখেছে তার উপরে কি করে “ খরা-গা “ আসলো তা নিয়ে ঝালকাঠি জেলার সুশিল সমাজের লোকজন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন থেকে মাঝি-মাল্লা পর্যন্ত আলোচনার ঝর সৃষ্টি হয়েছে। শামীম তালুকদারের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে এমন ব্যবস্থা জারী করেছে ,তারা আসলে দলের ও ঝালকাঠি জেলার শান্তি পরিবেশকে নষ্ট করার পায়তারা করছে।তারা দলের স্বার্থকে না দেখে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে। অসাধুলোকগুলি অতি গোপনে কেন্দ্রীয় নেতাদের মিথ্যা ভুল বুঝিয়ে কানভারি করে অপবাদ ছড়িয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মাধ্যেমে ৯আগস্ট ২০২৪ দপ্তর সম্পাদক এম এন ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কার করা হয়।যাহা গনঅভ্যুথ্থানের পরপরই করা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পুনরায় তদন্ত করে সুষ্ঠু সমাধান দিবে বলে ঝালকাঠি জেলার সর্বশ্রেনী মানুষের দাবী। কারো ব্যক্তি স্বার্থে দলের ক্রান্তিকালের একজন নির্যাতিত, কারাভোগকারী বিচক্ষন বুদ্ধির সংগ্রামী নেতাকে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ৪ দিনের মাথায় দল থেকে বাদ দেয়াএটা মনে হয় ঐ স্বৈরাচারি সরকারে বিচারের সামিল।
বহিষ্কার অবস্থায় থেকেও যদি শামীম তালুকদার একবার রাজপথে ডাক দেন,ঝালকাঠির শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত হাজারো নেতা-কর্মী মুহূর্তেই ছুটে আসে তার ডাকে। এই দৃশ্যই বলে দেয়,পদ হারালেও নেতৃত্ব হারায় না,অপবাদ টিকে না—সত্য কোন দিন চাপা পরে থাকে না। দেখা গেছে, যারা অপবাদ দিতে ব্যস্ত ছিল, তাদের পাশে মানুষ দাঁড়ায়নি।কিন্তু শত মামলা, শত প্রতিহিংসা, শত অপবাদ সত্ত্বেও শামীম তালুকদারের নামে রাজপথ এখনো আন্দোলিত হয়, তৃণমূল এখনো তার প্রতিই আস্থাশীল।তাই ঝালকাঠির তৃণমূল আজ উচ্চকণ্ঠে বলছে ,শামীম তালুকদারের বহিষ্কার আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। কারণ তিনি ফিরে এলে সংগঠন আবার হবে ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী এবং আন্দোলনমুখী।রাজপথের সত্যিকারের সৈনিক কখনো হারায় না। মানুষের ভালোবাসাই তাকে বারবার ফিরিয়ে আনে।