৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,সকাল ৮:৫৪

দুদকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি পেলে ছাড় দেওয়া হয় না

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ

নিজেদের ঘরকে স্বচ্ছ দুর্নীতিমুক্ত রাখতে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ছাড় দেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।

সোমবার (১০ নভেম্বর) দিনাজপুরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে দুদকের জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দুদক কমিশনার বলেন, দুদকের বর্তমান ড. মোমেন কমিশন প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন, নিজের ঘর দুর্নীতিমুক্ত এবং স্বচ্ছ রাখবেন। সরকারি সব অফিসের কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আগে কমিশনের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পেলে এতটুকু ছাড় দেওয়া হয় না। দেশে দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবার সহযোগিতা লাগবে। সবার মধ্যে নীতিবোধ জাগ্রত করতে হবে। ব্যক্তিগত লোভ-লালসা পরিহার করতে হবে, অন্যকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, সমাজকে স্বচ্ছতার মধ্যে আনতে নিরন্তর প্রচেষ্টার পরও আমরা সমাজকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আনতে পারিনি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সরকারি সেবা প্রাপ্তি এ গণশুনানির মূল লক্ষ্য।

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘুষদাতা ঘুষগ্রহীতার চেয়ে বেশি অপরাধী। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ আপনার নিষ্পাপ শিশুদের খাওয়াবেন না।

দিনাজপুরে ৪৪টি সরকারি দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শতাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন দিনাজপুরে ১৯০তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম।

গণশুনানিতে ৪৪টি সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট প্রায় ১৮০টি অভিযোগ গৃহীত হয়। এর মধ্যে দুদকের তফসিলভুক্ত ১২৮টি অভিযোগের শুনানি হয়।

শুনানির পর ৪টি অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে ২ জন কর্মকর্তাকে বদলি, একজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার নির্দেশ এবং ৪ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকি অভিযোগগুলোর তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া হয়।

  • শেয়ার করুন