১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ৪:২২

হাসিমুখে ঘুষ নেন গৃহায়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

বর্তমান চেয়ারম্যান কি পারবেন বন্ধ করতে ?

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ , গৃহায়ন ভবনে ঘুষ উৎকোচ ছাড়া কোন গ্রাহকের কাজ  সমাধান হয় না। আর এখানে এমন একটি সিন্ডেকেট রয়েছে যারা  ঐ সাত তলা থেকে নিচ তলা পর্যন্ত এক জেলার লোক । কোন না কোন পদে তারাই গৃহায়ন ভবন দখল করে আছে । এই শক্তিশালী সিন্ডেকেটের দরুন সাধারন মানুষ প্রতিনীয়ত প্রতারনার,দুর্নীতির শিকার হচ্ছে। তবুও দৈনিক মানুষ এই দপ্তরে আসতে হয় । কারন তারা কোন না কোনোভাবে এদের মাধ্যেমে প্লট, নয় ফ্ল্যাট বরাদ্ধ নিয়েছে।ঐ সব ফ্ল্যাটের  বা প্লটের  মালিকগন কাগজপত্র ঠিক করতেই বাধ্য হয়ে এখানে আসতে হয়। দলিল রেজিস্ট্রি করতে, আমমোক্তার, কিস্তি দিতে, দখল বুঝিয়ে নিতে, নাম খারিজ করতে, ফ্ল্যাট নির্মান করতে,ওয়ারিশ সনদ নিতে,হেবা দলিল করতে এমন ১৬ /১৭ ধরনের জমির কাজ করতে গৃহায়ন অধিদপ্তরে আসতে হয় শত শত লোকদের। মাথা গোজার ঠাইকে রক্ষা করতে যত বাধাই হোক না কেন তবুও আসতে হয়। সেই সুযোগে  সৎ ব্যবহার করে থাকেন পিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পর্যন্ত । তার উদাহরন বিগত বছরগুলোতে যে কজন চেয়ারম্যান   ভুমি সদস্য  বিদায় নিয়েছেন  তাদের সবার নামেই দুর্নীতির মহা সেরেস্তা রয়েছে ।  বিজয় কান্তি সরকার চেয়ারম্যান, মোঃ নুরুল আমিন, শহীদুল্লা খন্দকার, রাশিদুল হাসান ও খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এবং সদ্য বিদায়ী  সৈয়দ নুরুল বাসিরের নামেও। সদস্য (ভূমি সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) মোহাম্মদ কুদ্দুছ আলী সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মদুর্নীতি তুলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) অভিযোগ জমা পড়েছে।

সৈয়দ নুরুল বাসির

নুরুল বাসির অনেক অনিয়ম-অপকর্ম করেছেন ,তারমধ্যে বদলি বাণিজ্য বহুল আলোচিত। এই দশ মাসে তিনি এতটা বদলি বাণিজ্য করেছেন যে, অতীতের দীর্ঘকালের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে। যেসব বদলি-পদায়নে অতীতে সর্বোচ্চ ২/৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হতো, নুরুল বাসির সেগুলোর প্রত্যেকটি থেকে ১৫-২০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। বলা যায়, এই দশ মাসে তিনি সংস্থাটিতে অনেকটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। আর এর মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন নিজে বিপুল অংকের অর্থ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সৈয়দ নুরুল বাসিরের এসব বেপরোয়া অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকেও ইতিপূর্বে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি মন্ত্রণালয়ের সতর্কতাকেও মোটেই পাত্তা দেননি। আর অবশেষে এখন তাকে ওএসডি হতে হলো।

বিচক্ষন বুদ্ধি খাটিয়ে দুর্নীতি করলেন রাশিদুল হাসান ও খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান

এখানে বেশিরভাগই অফিসার বিভিন্ন মন্ত্রনালয় থেকে ডেপুটেশনে আসেন। তারা এসে জমিজমার কাজ দেখে তাদের পুর্বের হিসাব নিকাষ পরিবর্তন করে ফেলে দুর্নীতির প্রতারনার দিকে ঝুকে পরে। আর ঘুষ নেওয়ার  কৌশল ঠিক করে ফেলে।  আর  এখানে অফিসার বুঝে  ঘুষের হারটা কম বেশি  হয়ে থাকে ।আবার ঘুষের নামটার পরিবর্তন হয় । যেমন চেয়ারম্যনের ঘুষটার নাম হয় উপঢৌকন বা উপহার, আবার মেম্বারদের হয় উৎকোচ আর পরিচালক ও কেরানিদেরতা হয় সহযোগিতা করা। এভাবে দৈনিক ঘুষের মাধ্যেমে দলিলাদির কাজ সমাধান হয়ে থাকে।   এই ঘুষের ও দুর্নীতির  আনন্দের  করনে অফিসারগন আর কেরানি পিয়ন ভাই ভাই, বাবা ছেলে হয়ে যান। অফিসের যে একটা অফিসার ও পিয়ন কেরানিদের মধ্যে চাল চলনের পার্থক্যের নীতিমালা রয়েছে তাহাও  গৃহায়নের অফিসারগন ভুলে গেছেন। অথচ এখানে  অফিসের নীতিমালা  অনুসারে সবকয়টি সেকশনের কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে আছে। প্রশাসন, অর্থ, সচিব, ভুমি সদস্য , পরিচালক, সহকারী পরিচালক, হিসাব রক্ষক, কেরানি, অফিস সহকারী, উচ্চমান সহকারী, ক্লিনার, ইলেকট্রিক্যাল ম্যান, গাড়ীচালক, পাম্পচালক, প্রকৌশলী,  আইন কর্মকর্তাসহ সকল পদেই লোক নিয়োগ রয়েছে । কিন্তু কে কোথায় কাজ করছেন তা কি  কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষন করছেন বা কোন দিন নজর দিচ্ছেন। চাকরির নীতিমালা অনুসারেতো  যাকে যে পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে  সে সেই পদে কাজ করবেন । কিন্তু গৃহায়নে কি তা হচ্ছে  ?  

একটি প্লটের বা একটি ফ্ল্যাটের মালিক হওয়ার জন্য এলাকা ভিত্তিক কেরানি হইতে চেয়ারম্যান পর্যন্ত  নানান পর্যবেক্ষ করে সকল দিক বিবেচনা করে সকলের সম্মতিতে সকলের স্বাক্ষরের   মাধ্যেমে এক ব্যাক্তি মালিক হওয়ার অনুমতি পান। এরপর উক্ত প্লটের শেষ সময় যায় হিসাব রক্ষকদের কাছে টাকা জমা দেয়ার  চালানের জন্য । এদের সংখ্যা ৩/৪ জন । তাদের টাকা  না দিলে তারা হিসাব করে দিতে দিনের পর দিন মাস পর্যন্ত ঘুরিয়ে থাকেন । যত দিনে টাকা না দিবেন  ততদিনে হিসাবের চালান পাওয়া যায় না । অফিসারগন সব কিছু অনুমোদনের পরেই  টাকা  জমা দেওয়ার পালা ।  কারন  কত টাকা জমা দিতে হবে বলেই চালানোর জন্য হিসাব শাখায় পাঠানো হয় । এখানে আসার পর গ্রাহকগন আর একটি প্রতারনায় পরেন। তারা জমির পরিমান দেখেন , এলাকা দেখেন তার পর  তার উপর সরকারি নির্ধারিত মুল্যে যোগ করেই তারা তাদের  উৎকোচ দাবী করেন।  মোটা মোটি কথা হলো কোন টেবিলেই  টাকা ছাড়া  কারো সাহায্য পাওয়া যায় না। অপর দিকে বহিরাগতদের দেখা যায় সরকারি কর্মচারিদের মত দপ্তরে বসে নীয়মিত ফাইলে  নোট লেখছে , স্বারক নাম্বার দিচ্ছে, ফাইল নিয়ে অফিসারদের টেবিলে  জমা দিচ্ছে । গ্রাহকগন তাদের পিছনে পিছনে স্যার স্যার বলছে তাদের সাথে কন্ট্রাক হচ্ছে যাবতীয় কাজ ফাইলের করে দিতে কত হাজার বা কত লাখ লাগবে। তারাও  গ্রাহকের চেহারা  ও পোশাক  এবং জমির পরিমান দেখে  সব কিছু  কন্ট্রাক করে ফেলে । এরাই  ঐ নীয়মিত কর্মচারী কেরানি  বা ডিলিং কারক বা অফিস সহকারী বা উচ্চমান সহকারীর  রাখা অঘোসিত কেরানি। এরাই জমির মালিকের  সাথে যুক্তি করে নেয় । কারন ফাইলের ৭৫ % কাজ এদের হাত ধরেই হয়ে থাকে। কেরানির নোটের উপরই ভিত্তি করে পরবর্তী অফিসারগন কাজ করেন। নীয়মিত কেরানি সুধু নোট রাফ করে দিবেন ও ফাইনালটা দেখে স্বাক্ষর করে দিবে।  আর ঐ রক্ষিত কেরানিই ফাইলে নোট টাইপ করাসহ পরবর্তী কাজগুলি করার জন্য অফিসারদের কাছে দৌড়যাপ করবেন। ফাইল হাড়িয়ে গেলে, বা কোন কাগজ  গায়েব করে দিলেও  নিয়মিত কেরানির কোন কৈফিয়ত দিতে হয় না। কারন সেতো  গ্রাহকের সাথে  ফাইল নিয়ে কোন কথা বলে নাই। যা কিছু কথা বলা হয় সবইঐ বহিরাগত কেরানির সাথে। ফাইলের কাজ হবে দ্রুত যদি চাহিদামত লেনদেন ঠিক থাকে নচেৎ ফাইল হাড়িয়েও যেতে পারে বা এমন নীতিমালা লেখে দেবেন বা এমন একটা কাগজ আনতে বলবেন যাহা জমির মালিক যোগার করতেই ৬ মাস কেটে যাবে । আর ঘুষ দিলে কোন কাগজের প্রয়োজন হয় না। নচেৎ বার বার তারা  ঘুষের জন্য কৌশলগত রুপ পরিবর্তন করেন। যে কয়বার ঐ অফিসারের কাছে যাবে ততবারই একটা না একটা নতুন কিছু  নিয়ম লেখে ফাইল নিচে ফেরত দিয়ে দিবেন। মোট কথা হলো ঘুষ  উৎকোচ লাগবেই ! এছাড়াও অফিসের  অফিসারদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য বেশ কিছু ষ্টেশনারী মালা মাল , ঝাড়ু , ঝুড়ি,  ডাষ্টার , হ্যান্ড ওয়াশ , কলম কাগজ ,এ্যারোসল, টিস্যু    হারপিক, টোনার, আইডী কার্ড  ইত্যাদিসহ আপ্যায় বাবদ টাকার ৮০ % কেরানি ( কেয়ার টেকারের ) পকেটে ও একজন  সহকারী পরিচালকের পকেটে জমা হয়্। কারন এখানে কোন তালিকা ভুক্ত ঠিকাদার নাই।ঐ মহা দুর্নীতিবাজ কেয়ার টেকার মমিনুল ইসলাম যা ইচ্ছা তা করেন। অফিসারদের চেয়ার টেবিলের প্রয়োজন হলেও  নিজেই ক্রয় করে এনে কোন না কোন নামে একটা মনেরমত ভাউচার করে নিজেই বিল তুলে নেয় বলেই অভিযোগ ওঠেছে। এই দপ্তরের কোন অফিসারদের এসব বিষয়ে নজর নেই। যার ফলে যা ইচ্ছা তা করে বেড়াচ্ছে কেয়ার টেকার মমিনুল ইসলাম।

ঠান্ডা মাথার দুর্নীতিবাজ কুদ্দুছ আলী সরকার

অতিতের সুত্র, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কুদ্দুছ আলী সরকারের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে।তার মধ্যে হিম্মত ওয়ালা শীর্ষ দুর্নীতিবাজ উপপরিচালক আলমগীর মোল্লা ও শোয়ব উল আহসানসহ আর ও ৬ জন ছিল।এদের মাধ্যেমেই পুরো গৃহায়নের খবরা খবর নিতেন ও ঘুষ দুর্নীতি করতেন।কুদ্দুছ  আলী সরকার সব কাজেই  শোয়েবের ও আলমগীর মোল্লার পরামর্শে ঘুষ  নিতেন  তবে তার ব্যক্তিগত সহকারী শোয়েব উল আহসান হওয়ায় ও গৃহায়নের পুরোনো ষ্টাফ হওয়ায় তার বুদ্ধিতে ও তার ড্রাইভারের মাধ্যমে ঘুষের টাকা বহন করতেন। কুদ্দুছ আলী সরকারের পিএ শোয়েব উল আহসান হলেন ( আর এক মহা দুর্নীতিবাজ ) সাধু বেসে সন্নাসী সাজে। যার ফলে দুর্নীতিবাজ দুর্নীতিকে চিনে বলেই শোয়েবকে পিএ করেছিলেন।  আর শোয়েবকে তখন মিরপুর ১১নং সেকশন ও রূপনগর আবাসিক এলাকায় কাজের দায়িত্ব দেয়। আর এসব কাজ থেকে আদায় করতেন  শোয়েব ও কুদ্দুছ আলী  সরকার। এরই মধ্যে কুদ্দুছ আলী সরকার থেমে রইলেন না। হঠাৎ নতুন চাকরিতে যোগদান কৃত হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ পাওয়া সাতজনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমি শাখায় পোস্টিং করে। অথচ নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগে এই কর্মকর্তাদের চাকরি স্থায়ী হওয়ার সুযোগ নেই। অথচ অস্থায়ী অবস্থায়ই তাদের দিয়ে প্লট-ফ্ল্যাট বিক্রি, নামজারি, আমমোক্তার, লিজ, কাজের অনুমতিপত্র স্বাক্ষরসহ গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তারা হলেন মো. জাহিদুল হুদা, কৃষ্ণ ভৌমিক, মো. হাবিবুর রহমান, শাহরিয়ার আহাম্মেদ সুমন, মো. সাজ্জাত হুসাইন, টিপু সুলতান, রাকিবুল ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কুদ্দুছ আলী সরকার তাদের গুরুত্বপূর্ণ শাখায় পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এদের ভিতরের শাহরিয়ার আহাম্মেদ সুমনকে ঘুষের টাকা সহ জনৈক সাংবাদিক তৃতীয় তলায়  হাতে নাতে ধরে ফেলে । পরে পরিচালক ভুমি নিয়ে বিষয়টি  সমাধান করে দেয়। অপর দিকে কেরানী মোঃ হাবিবুর রহমানের নামে একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ রয়েছে, সে কোন ফাইলে ঘুষ ছাড়া নোট দেন না।

আইনের মারপ্যাচে ফেলে ঘুষবানিজ্য করে আসছেন, আইন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান

 অপর দিকে এখানে যে আইন কর্মকর্তা  আসাদুজ্জামান দীর্ঘ বছর  ( ১৬ / ১৭ বছর )   যাবৎ আছেন্।চাকরির বিধিমালায় ০৩ বছরের পরই  কর্মচারিবা কর্মকর্তাদের বদলীর নিয়ম রয়েছে। অথচ আসাদুজ্জামানের বেলায় সম্পুর্নটাই উল্টো পথে হাটছে। আসাদুজ্জামান একই চেয়ারে থাকায় অত্র দপ্তরের প্রতারক দুর্নীাতবাজ ও অসৎ লোকদের সে রীতিমত অন্যায় কাজে সহযোগিতা করছে। তার বিষয়ে একাধীক অভিযোগ রয়েছে। তার সাথে অনৈতিক কর্মে জড়িয়ে পরেছেন বেশ কিছু অফিসার ও কেরানি। গ্রাহকের ফাইলে কোন ত্রুটি না থাকলেও যদি জানতে পারেন গ্রাহক বিত্তশীল তবেই ফাইলের কাগজে ত্রুটি দেখিয়ে আইন কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পর যা হয় তা হয় যদি তবে ফাইল নিচে নামবে বা ডিসি অফিসের বা মন্ত্রনালয়ে অনুমোদন লাগবে বলে ফাইলটি ফেলে রাখা হয় । অর্থাৎ হয়রানী শুরু হয়। আর যদি তাদের চাহিদামত সমাধান করেন গ্রাহক তবে ফাইলের বাকি কাজটি দ্রুত সমাধান হয় । এই আইন কর্মকর্তা এই   দপ্তরে কম পক্ষে প্রায় ১৭ বছর যাবত কাজ করছেন। সরকারী চাকরি বিধিমালার ধারা অনুযায়ী ৩ বছর পর পর বদলীর নীয়ম থাকলেও  কোন রহস্য আসাদুজ্জানকে বদলী করা হয় না]  

( পরবর্তীতে  পাবেন বিস্তারিত )

  • শেয়ার করুন