প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫
বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা জেলা আওয়ামীপন্থি আইন জীবীরা ২০২৩ সালের ১৭ই মার্চ শেখ মজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি মিছিল বের করে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালায়। হামলার সময় তারা অফিসরুম ভাংচুরসহ আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রনিক ও ইলেক্ট্রিক্যাল সরঞ্জাম ভাঙচুর করেন এবং সেগুলো সড়কে স্তূপ করে আগুন ধরিয়ে দেন। কার্যালয়ের ভেতর ও বাইরে একাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ঘটনায় ২০২৫ সালের ৩০শে এপ্রিল এস এম নইমুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ১৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
সুত্র মতে ঐ মামলায় একসঙ্গে আওয়ামীপন্থি ১২ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ গতকাল দুপুরে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুর রহমান আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. নুরুল আমীন।কারাগারে যাওয়া আইনজীবীরা হলেন- বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মজিবুল হক কিসলু, পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান জুয়েল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইমুম ইসলাম রাব্বি, জেলা যুবলীগের সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন মোল্লা, হুমায়ুন করীব পল্টু, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জুনায়েদ হোসেন জুয়েল, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবুর বারী আসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক জিপি মো. মজিবুর রহমান, বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হুমায়ুন করীব, মো. ইমরান হোসেন, মো. আমিরুল ইসলাম মিলন।
এ ঘটনায় ২০২৫ সালের ৩০শে এপ্রিল এস এম নইমুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ১৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তিনি বরগুনা জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে। বিশেষ ক্ষমতা আইনের পাশাপাশি এই মামলায় বিস্ফোরক আইনের ধারাও সংযোজন করা হয়।আসামির তালিকায় আওয়ামী লীগের নেতা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও আইনজীবী ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার নাম রয়েছে। মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের বরগুনা সদর উপজেলা শাখার ৮ নম্বর ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব সোহাগ মৃধাকেও আসামি করা হয়েছে।এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বলেন, যেসব আইনজীবীদের আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন, তারা সবাই বিএনপি’র কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার আসামি। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।আসামিপক্ষের আইনজীবী মো.আবদুল মোতালেব মিয়া ও মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা আবারো জামিনের জন্য আবেদন করবো। আসামিরা প্রত্যেকেই কোর্টে নিয়মিত কর্মরত আছেন।পালানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।তাছাড়া মামলাটি দুই বছর আগের রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে করা হয়েছে। তবে এরমধ্যে অনেক আসামী আওয়ামী লীগের সদস্যও নন বলেও জানা যায়।