৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,সকাল ১১:৩৮

প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তার আস্তাভাজন ফ্যাসিবাদ সুবিধাভোগী নির্বাহী প্রকৌশলী সাত্তার ও সানাউল্লাহকে প্রাইজ পোস্টিং দিলেন !

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

 নিজস্ব  প্রতিনিধিঃ

কথায় আছে  বাবার দরবারে কেউ ফিরে না খালি হাতে” চাইতে জানলে রয়না কাঙ্গাল” বাবার মুরিদান হইলে ।

ঠিক তেমনি  গনপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী  শামীম আখতার নিজেকে পীর ভাবেন ও তার  মুরিদান ও খানকা শরীফ রয়েছে। পীর সাহেবের  যারা  ঐ স্বৈরাশাসক ফ্যাসিবাদের শাসনামলেও বাবার হাতে হাত রেখেছেন তারা কোটি কোটি টাকার গাড়ীর, বাড়ীর ও পত্রিকার  মালিক হয়েছেন।  রাস্তায় পরে থাকা  খুটি নাটি করে চলা লোকজন আজ তার হাতে হাত রেখে ও তার ষ্টাফ অফিসার  মাফুজের সরন্নাপন্ন হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।যার ফলে  স্বৈরাশাসন দেশ থেকে পালাইয়া গেলেও  পীর বাবার মুরিদানরা  কোথাও য়ায়নী । তারা বাবার কাছ থেকে কাজ নিচ্ছে, তদবীর করছে ,তার অফিসে রীতিমত আড্ডা দিচ্ছে, বাবা মহা-খুশি। বাবার সাগরিদগন ঐ স্বৈরাচারী সরকারে আমলেও  ঢাকায় ও ভালো ভালো জায়গায় বদলী হয়েছেন।  আর  এখনও যে সব যায়গায় আলাদিনের চেরাগ আছে সেইসব যায়গায় ঐ দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের আবারও পূনর্বাসন করা হচ্ছে তাদের গুরুত্বপূর্ণ পোস্টিং দিয়ে দিচ্ছে। চার বছর সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দায়িত্ব পালন করা ফ্যাসিবাদের আস্থাভাজন  ইডেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তারকে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা ডিভিশন-২ এ বদলি করা হয়েছে। যার দায়িত্বে থাকবে বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, গণভবনসহ ভিআইপি স্থাপনাগুলো।

শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দায়িত্ব পালন করা ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম সানাউল্লাহকে দেয়া হয়েছে নবগঠিত শেরেবাংলানগর বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব। ঘুরে ফিরে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন এক ধরনের ‘স্যাবোটাজ’ বলে ভাবছেন গণপূর্তের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সাত্তার ও সানাউল্লাহকে প্রাইজ পোস্টিং দিলেন প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তার ব্যাচের ৭ নম্বরে থাকার পরেও প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় পাঁচ বছর ধরে।

ফ্যাসিবাদের পতনের এক বছর পরেও কোন অলৌকিক শক্তির বলে সে বহাল তবিয়তে রয়েছে তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। ধারণা করা হচ্ছে, বিদায়ের শেষ মুহুর্তে গণপূর্তের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাত্তার ও সানাউল্লাহদের পদায়নের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ পূনর্বাসন প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সন্ধ্যায় আব্দুস সাত্তার ও সানাউল্লাহর বদলির আদেশে স্বাক্ষর করে প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার। আব্দুস সাত্তার ইডেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ও থোক বরাদ্দের বেশিরভাগ টাকাই লুটপাট করেছেন। তাকে মূলত: রাখা হয়েছিল প্রধান প্রকৌশলীর দুর্নীতি সম্পর্কিত ফাইলগুলো ধামাচাপা দেয়ার কাজে। আর সানাউল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বঙ্গভবনের ক্ষমতা প্রদর্শন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার দায়িত্ব পালনকালে সম্পাদিত কাজ ও বিলের তদন্ত করলে এর ৮০ ভাগ কাজের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এছাড়া একদিন আগে বহু দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম খানকে হেড অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (সমন্বয়) দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তিনি সাবেক চিফ হুইপ লিটন চৌধুরীর আস্থাভাজন হিসেবে সংসদ ভবন ও মাদারীপুর ডিভিশনে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়েছেন। চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন কালে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঠিকাদাররা মানববন্ধন করেছিল। চট্টগ্রাম বিভাগ-১ এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মীর রাসেদুল করিমকে। তাকে কুমিল্লা থেকে ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয়েছিল। এছাড়া ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয়েছে অর্ণব বিশ্বাসকে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রিজার্ভে ছিলেন। এছাড়া গোপালগঞ্জ গণপূর্ত জোনের স্টাফ অফিসার নাহিদ আফরোজকে গবেষণা ও উন্নয়ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

  • শেয়ার করুন