প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৫
হিডেন নিউজ ঃ
কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের পিয়ন থেকে শুরু করে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা প্রায় সবাই দুর্নীতির সাথে জড়িত। তাদেরই একজন ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের গ্রহন ও প্রেরণ শাখার অফিস সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ রবিউল ইসলাম। কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট থাকে সাধারন মানুষের সব সময় চোখের আড়ালে। সেই সুযোগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মেতে ওঠেন দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যে। গার্মেন্টস মালিকদের জিম্মি করে শত শত কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য করে থাকেন। কিন্তু বিয়ষটি খুবই গোপনীয় সিন্ডিকেটের মাধ্যেমে করে থাকে। কিন্তু গার্মেন্টস মালিকরা নিজেদের দুর্বলতা ও প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে বিয়ষটি নিয়ে প্রতিবাদ করে না। যে কারণে পিয়ন থেকে কমিশনার পর্যন্ত ঘুষ আদায় করে থাকেন।
মোঃ রবিউল ইসলাম বাৎসরিক প্রায় ৫ লাখ টাকা বেতনের চাকরি করেন অথচ কিনেছেন কোটি কোটি টাকার জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাট। কোন আলাদিনের চেরাগ পেলেন সে টাকার কুমির হলেন? কিভাবে এতো সম্পত্তির মালিক হলেন সে? এমন সবই প্রশ্ন উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়ের হওয়া এক অভিযোগে বেরিয়ে এসেছে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের এই কর্মকর্তার দুর্নীতির থলের বিড়াল। ওই অভিযোগে দেখা যায়, ঝিনাইদহের সাদেকপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কাস্টমসে কর্মরত ছিলেন। এক সময় অতিরিক্ত কমিশনার শামীমা আক্তারের পি.এ হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। সেই সুবাদে সুযোগ বুঝে বাগিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।গার্মেন্টস মালিকদের দায় অব্যাহতি, ফাইল পাশসহ বিভিন্ন সুপারিশের কাজ করে অবৈধ পথে হাতিয়ে নিয়েছেন সুধু টাকা।
অভিযোগ সুত্রে দেখা যায়, রাজধানীর কল্যানপুর শহীদ মিনার রোডে কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক ফ্ল্যাটে বসবাস এই রবিউলের। ব্যবহার করেন অত্যাধুনিক প্রাইভেট কার। তার স্ত্রী-সন্তানরাও নাকি পৃথক পৃথক ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেন। এছাড়া রবিউল উত্তরায় স্ত্রীর ও শ্যালকদের নামে একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাট কিনেছেন বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সামনে কোটি টাকা মূল্যে ৪ তলা সুবিশাল প্রাসাদ রয়েছে তার। জিলা স্কুলের সামনে রয়েছে গাড়ি পার্কিংসহ ২টি অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট। কুষ্টিয়ার বাড়ানি মৌজায় স্ত্রীর নামে কিনেছেন ২ বিঘা জমি। কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা সদর থানার বামন পাড়াতেও রয়েছে কোটি টাকা মূল্যের কয়েক বিঘা জমি। কুষ্টিয়া মিউনিসিপ্যাল মার্কেটের মাছ বাজারের পেছনে দুটি দোকান রয়েছে তার। যার বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।এছাড়া নিজ জেলা ঝিনাইদহের সদর সার্কিট হাউজের সামনে ও পাগলা কানাই মোড়ে কয়েক বিঘা জমি কিনেছেন রবিউল। শৈলকূপা থানার সাদেকপুর মৌজায় ২৫ বিঘার বেশি জমি কিনেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। একজন তৃতীয় শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী হয়েও কিভাবে তিনি এসব সম্পদের মালিক হলেন তা এখন সবার কাছেই বিস্ময় ।