প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৫
প্রকাশিত:
বিশেষ প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা চিহ্নিত গণপূর্ত অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী ও তার (প্রটোকল ও প্রশাসন) স্টাফ অফিসার প্রকৌশলী মাহফুজুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী,এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত শক্তিশালী সিন্ডিকেটের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের কোন প্রকার প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ না করার ফলে গণপূর্ত অধিদফতরের অতিতের স্বৈরাচারী সরকারের প্রচলিত সিন্ডিকেট মুক্ত হয়নি। এই সিন্ডিকেট এতটাই বেপরোয়া যে কোন নিয়ম কানুনকে তারা তোয়াক্কা করছে না। সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব সহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের নাম ব্যবহার করে এরা দীর্ঘদিন যাবত ফায়দা লুটেছে । সরকার পতনের পরও তারাই রাজত্ব করে যাচ্ছে।প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতার সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলেও এই সিন্ডিকেটটি দুর্দান্ত প্রতাপে চালিয়ে যাচ্ছে বেপরোয়া অনৈতিক কর্মকান্ড। কোন নিয়ম কানুনকে তারা তোয়াক্কা করছে না। যার ফলে ছাত্র জনতার ব্যানারে গত ২০ নভেম্বর ২০২৪ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, ২৫ জুলাই ২০২৫ অধিদপ্তরের সামনে কতিপয় ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন থেকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের অর্থের যোগানদাতা ও জুলাই এর গনহত্যাকারী আসামিদের পদত্যাগসহ শাস্তির দাবি করেন।
প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের (প্রটোকল ও প্রশাসন) স্টাফ অফিসার প্রকৌশলী মাহফুজুল আলম একই পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করায় বিগত আওয়ামীলীগদের দোসর ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের সাথে তার রয়েছে নানান বিষয়ে লেনদেন। আর সে এই জন্যই ঐ স্বৈরাচারী সরকারের দোসর ঠিকাদার সাংবাদিক ও প্রকৌশলীদের নিয়ে প্রকাশ্যে ও গোপনে বৈঠক করে থাকেন। কমিশনের বিনিময়ে এই সিন্ডিকেটকে তিনি ‘বিশেষ সুবিধা’ আদায় করে দেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেয়া, দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের পদোন্নতি, বদলী, প্রকল্প পাইয়ে দেয়ার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হিসেবেও নিজেকে পরিচিত করে তুলেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস-(১) এর বিধানমতে একই পদে ০৩ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার অব্যহিত পূর্বেই মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও উহার অধীনস্থ দপ্তর/পরিদপ্তসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে নতুন পদে বা অন্যস্থানে বদলী করার কথা বলা আছে। কিন্তু স্টাফ অফিসার মাহফুজুল নির্বাহী প্রকৌশলীর পদমর্যাদা হওয়া সত্ত্বেও তিনি স্টাফ অফিসার হিসেবে কাজ করছেন।তার নামে নানান অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না কারন ,প্রধান প্রকৌশলীর অনেক গোপনীয় তথ্য উপাথ্য মাফুজুল হক জানেন। মাফুজুল হক সম্প্রতি শেষ হওয়া ঈদুল ফিতরের সময় লীগ দোসর সাংবাদিকদের ও রাজনৈতিক নেতাদের উপঢৌকন দিবে বলে প্রায় ১০ কোটি টাকা নির্বাহী প্রকৌশলী ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীদের নিরবাহী ওসহকারী, এবং উপসহকারী প্রকৌশলীদের ২৩ ও ২৪ রোজায় প্রধান প্রকৌশলীর সভাকক্ষে ডেকে সকলের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করেন বলে তারই সহকর্মী প্রকৌশলী নাম না প্রকাশ শর্তে জানান। বিষয়টির সততা জানার জন্য মাফুজুল আলমকে একাধীকবার তার মুঠো ফোনে ফোন দিলে রিসিভ করেনী।অবৈধ টাকার গরমের এবং তার সিন্ডিকেটের কারনে তিনি কাউকে পাত্তা দিতে চান না। বলে থাকেন চাকরি ছেড়ে দিবো “ যা করেছি তাতে চলবে ! এমন সব কথা সে উচ্চারন করে। তার বিষয়ে কিছু তথ্য উপাথ্য তার বস্ প্রধান প্রকৌশলীর কাছে তার মতামত জানতে সম্প্রতিকালে খুদে বার্তা পাঠালে তার কোন উত্তর না দিয়ে মাফুজকে অন্যত্র বদলী করে দেয় ।কারন প্রধান প্রকৌশলী নিজেই দোষি ছিলেন। আওয়ামীলীগের সাংবাদিক নেতা দীপ আজাদের সাথে তার ছিল গোপন সম্পর্ক তাকে প্রধান প্রকৌশলী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন বলে তার নিকটত্ব জনৈক ব্যাক্তি নাম না প্রকাশে খবরটি জানান। অপর দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৭৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অথচ এই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে এক যুগ পার হয়ে যায়। ব্যয় বাড়িয়ে ৬৮২ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা করা হয় তাতে শেষ না হলে পুনরায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এর ব্যয় ধরে ৬৮৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠলে ২০২১ সালে প্রকৌশলী মাহফুজ আলমকে দোষী সাব্যস্ত করে। এ ছাড়াও মেডিকেল কলেজের পুরাতন বিল ছাড় করার জন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন নেয়ারও অভিযোগ উঠে। সব অভিযোগই প্রকৌশলী মাহফুজুল আলমের দিকে থাকলেও পীর সাহেব তার মুরিদানের বিলের ও সুযোগ সুবিধার জন্য তাকে শাস্তির স্থলে নানান সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে । মাফুজুল আলমের সহায় সম্পত্তি ফ্ল্যাট ,জমি ও ব্যাংক ব্যালেন্স তদন্ত করলে দেখা যাবে তার বেতন ভাতার অসামাঞ্জাস্য সম্পদের সে অধিকারী।
প্রধান প্রকৌশলীর অন্যতম সিন্ডিকেট সদস্যগন হল গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলমগীর খান। যার বিরুদ্ধে গণপূর্ত ডিভিশন-৬ এ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে। আলমগীর খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্বেও বর্তমানে ই/এম শাখার গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে তাকে পদায়ন করা হয়েছে। অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি ঢাকা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন । তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আলমগীর খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্ত করলেই উক্ত সকল অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। কথিত রয়েছে যে, গনপূর্ত অধিদপ্তরের অন্যতম দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রোকন উদ্দিনের মত আলমগীর খানও যেকোনো সময়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন।প্রধান প্রকৌশলীর আরেক সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ দুর্নীতিতে মহা চ্যাম্পিয়ন। শ্যালককে দিয়ে ঠিকাদারী ব্যবসা করান তিনি। তার ওস্তাদ প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। শ্যালকের মাধ্যমে তিনি সরাসরি ঠিকাদারীতে করে হয়েছেন কোটিপতি।গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তার ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর বহুতলবিশিষ্ট ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে। দীর্ঘদিন যাবৎ মতিঝিল গনপূর্ত বিভাগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সাইট সিলেকশনের অজুহাত দেখিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর অন্যতম সিন্ডিকেট সদস্য গনপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুল ইসলামকে দিয়ে একটি কমিটি বানিয়ে কাজটি হস্তান্তর করেন। উক্ত কাজ মতিঝিল গণপূর্ত বিভাগ থেকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ এ হস্তান্তরের মূল উদ্দেশ্য কয়েক কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য হাতিয়ে নেয়া। এজন্যই মূলত কমিটি করা হয়েছিল।বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর ডাটাবেজ তৈরির কাজে সহযোগিতা করছেন আতিকুল ইসলাম। গণপূর্ত অধিদপ্তরের রক্ষনাবেক্ষন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিভিন্ন ঠিকাদারের নিকট হতে অধিক পরিমান উৎকোচ গ্রহন করে অনুমোদিত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা হতে ৩ বছরে তিনি প্রায় ৬০ কোটি টাকার অতিরিক্ত দরপত্র আহবান করে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ এ বদলী হয়ে যান। এই অতিরিক্ত ৬০ কোটি টাকার দরপত্র আহবান করে সুকৌশলে কয়েক কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
প্রধান প্রকৌশলীর অন্যতম সিন্ডিকেট সদস্য তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক অসংখ্য দুর্নীতি ও অপরাধ করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গণপূর্ত অধিদপ্তরে মিস্টার ফিফটি পার্সেন্ট হিসাবে অনেকের কাছেই বহুল পরিচিত তিনি।তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের আস্থাভাজন হওয়ায় অধিদপ্তর জুড়ে কাউকে তিনি পরোয়া করেন না। সাবেক কর্মস্থল সাভার থাকাকালীন সময় থেকে ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারি টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থে বিলাসী জীবন যাপন করে আসছেন। এসব বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কমিশন দিয়ে ম্যানেজ করতেন। বর্তমানে তার সমস্ত অনিয়ম দুর্নীতির সহযোগী হিসাবে ৩ নং ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাঈখ-কে কাজে লাগান। যিনি বর্তমানে তার সমস্ত কুকর্মের ছায়াসঙ্গী। প্রধান প্রকৌশলীর অন্যতম সিন্ডিকেট সদস্য হচ্ছেন নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাঈখ, আজমল , ও মাসুদ রানা।
পীর হিসেবে তার নাম আল্লামা হযরত মোহাম্মদ শামীম আখতার (মোদ্দাজিল্লুহুল আলিয়াহ)। বাংলাদেশের কয়েকটি স্থানে রয়েছে খানকার শাখা। পীরের মুরিদরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারও বটে। তারা বড় বড় সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মের বাইরে গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থা থেকে সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিচ্ছেন তারা। মাসে লাখ টাকা বেতনে প্রকল্পের পরামর্শক, কর্মকর্তা-প্রকৌশলী থেকে বাবুর্চি-মালীর মতো পদগুলোয়ও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল মুরিদদের। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তখন জমা পড়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।স্বৈরাচারী দোষরদের কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।গণপূর্ত অধিদপ্তরের একাধিক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ অধিকাংশ নির্বাহী প্রকৌশলী দরপত্র আহ্বান সংক্রান্ত অনিয়মে জড়িয়েছেন।সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অধিদপ্তরের অধিকাংশ অতিরিক্ত, তত্ত্বাবধায়ক ও নির্বাহী প্রকৌশলী পিপিআর ও জিএফআর লঙ্ঘন করেছেন ঢালাওভাবে। মানেননি ইজারার সাধারণ শর্তাবলীও। পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য ওপেন টেন্ডার মেথড (ওটিএম) ভেঙে করেছেন লিমিটেড টেন্ডার মেথড (এলটিএম)। এধরনের স্বেচ্ছাচারিতা এখনো অব্যাহত রেখেছেন গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আকতার এন্ড সিন্ডিকেট।অন্যদিকে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আকতার (স্বঘোষিত পীর) গণপূর্ত অধিদপ্তরকে নিজের আস্তানা বানিয়েছেন। অনিয়মের সাথে জড়িত প্রকৌশলীর একটি অংশ ও ঠিকাদারের একটি গ্রুপ তার মুরিদ। মুরিদ হলে অনিয়ম করে পার পাওয়া যায়। ঠিকাদারি করলে দরপত্রের কাজ পাওয়া সহজ হয়। পীরের বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের কেউ কথা বললে তার বদলী আদেশের চিঠি চলে আসে। এই ভয়ে অনেকে তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না । ঠিকাদার মুরিদ এবং কিছু মুরিদ কর্মকর্তা নিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করে অধিদপ্তরে রাজত্ব করছেন প্রধান প্রকৌশলী ।তার নেতৃত্বেই চলছে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি।প্রধান প্রকৌশলী তার দুর্নীতির সিন্ডিকেট সদস্য-অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলমগীর খান ,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: কায়কোবাদ,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক,নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম,নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ওরফে ডিপ্লোমা মাহবুব, নির্বাহী প্রকৌশলী মো: কায়সার ইবনে সাঈখ, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ, নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস, মাসুদ রানা, সাইফুজ্জামান চুন্নু, আজমল গংসহ আরও অনেকে। অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে উল্লেখিত প্রকৌশলীদের রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা শহরে বাড়ি, প্লট, ফ্লাট, গাড়িসহ প্রচুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ গড়ে তুলেছেন। অপর দিকে অনেকের বিদেশেও গাড়ী বাড়ী রয়েছে। যা তাদের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। উপরোক্ত সকলের নিজ ও পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয় পত্রের বিপরীতে সম্পদের অনুসন্ধান করলে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার ও তার সিন্ডিকেট সদস্যদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে উস্কানী প্রদান ও অর্থায়ন,ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবানও জানানো হয়েছে আবেদনে। এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্যে প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের মোবাইল ফোনে কল করলে তা তিনি রিসিভ করেনী।
দ্বিতীয় পর্বে থাকছে মুরিদানগন যে টাকা দেন তার ছবি ও বিডিও।